উপজেলা সমবায় কার্যালয় কক্সবাজার সদর, কক্সবাজারের এক নজরে
কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন সমবায় বিভাগ হতে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সদস্যদের নিম্নোক্ত ট্রেডে যেমন-(১) মোবাইল সার্ভিসিং (২) ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স প্রশিক্ষণ (৩) গবাদি পশু (৪) হাঁস-মুরগি পালন (৫) সেলাই প্রশিক্ষণ (৬) ব্লক বাটিক, (৭) ক্রিস্টাল সু-পিচ, (৮) কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইত্যাদির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সমবায়ীদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ২টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেমন-আঞ্চলিক সমবায় ইনস্টিটিউট, ফেনী এবং বাংলাদেশ সমবায় একাডেমী, কোটবাড়ী, কুমিল্লায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কক্সবাজার জেলাধীন সদর উপজেলা হতে আগ্রহী পুরুষ ও মহিলা সমবায়ীদের সরকারী খরচে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে।
খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ন প্রকল্পঃ
১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিম পার্শ্বে পরিণত হয়েছেন উদ্বাস্তুতে৷ এমন ভাগ্যহারাদের জন্য কক্সবাজারে খুরুশকুল ইউনিয়নে একটি দৃষ্ঠি নন্দন বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে৷ 5তলা বিশিষ্ট ১৩৮টি ভবনের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ২০টি ভবনে ৬০০ পরিবার তাদের ফ্ল্যাট বুঝে পেয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন৷ প্রতি ভবনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে সুন্দর সুন্দর নাম দিয়ে নামকরণ করেছেন। প্রতিটি ভবনে ৩২ পরিবার করে মোট ৬০০ পরিবার এখন বসবাস করছে। নির্মিত ভবনগুলোতে ভবন ভিত্তিক সমিতি নিবন্ধনের মাধ্যমে পুনবাসিত উপকারভোগী পরিবারের মাঝে সেবা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ১৯টি ভবনে সমবায় সমিতি নিবন্ধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে পুনবার্সিত পরিবারগুলোকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে পুর্নবাসিত পরিবারগুলোকে ঋণ প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধনমন্ত্রীর কার্যালয় হতে (প্রথম কিস্তি-১,২৪,৮0,000/- ও দ্বিতীয় কিস্তি ৫৭,৬০,000) সর্বমোট ১,৮২,৪০,০০০/-টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত টাকা অগ্রিম উত্তোলন করে রূপালী ব্যাংক লিঃ, কক্সবাজার শাখায় আশ্রয়ন প্রকল্পের পুর্নবাসিতদের ঋণ তহবিল নামে হিসাব খোলে জমা করা হয়েছে। উক্ত টাকা থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের পুর্নবাসিতদের ঋণ প্রদান করা হবে।
সর্বমোট ১৩৮টি ভবনের মধ্যে ইতিপূর্বে ২০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। অবশিষ্ট ভবনগুলো নির্মাণ কাজ শেষে দরজা, জানালা ও রং এর কাজ চলমান আছে। অচিরেই ভবনগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় উদ্বোধনের মাধ্যমে জলবায়ু উদ্ভাস্তদের বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস